এর আগে একটা লেখায় আলোচনা করেছিলাম কেন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু অপ্রতিসম দ্বৈততার আওতাধীন। সহজ কর বলতে গেলে, সব কিছুরই একটা জোড়া থাকে (ঠিক যেমনটা ধর্ম গ্রন্থে বলা), আর সেই জোড়ায় একটা অন্যটার ওপর বিভিন্নভাবে প্রভাবশালী। উদাহরণ হিসাবে মানুষের দুটো হাতের কথা ভাবুন। সাধারণত দুটো হাতই কাজ করে যদিও একটার প্রাধান্য থাকে। যদিও খুব সহজ করে ব্যাপারটা বলছি, আসলে তা এতোটা সহজ সব সময় নয়। জোড়া গুলো এবং প্রাধান্যগুলো হতে পারে নানা আঙ্গিকে; সব সময় এগুলো দুটো হাত বা দুটো পায়ের মতো সহজ উদাহরণ নয়।
যাহোক, কোন একটা জোড়া থেকে যখন একটা কোন আঙ্গিকে প্রাধান্য পায়, তখন তা কি প্রকাশ করে? এককতার দিকে জোড়ার একটি প্রবণতা। কিন্তু তারপর কি সেই এককতা টিকে থাকে? না। অন্য আরেক জোড়া থেকে আসা আরেকটা এককের সাথে মিলে তা আবার জোড়া তৈরি করে। একই নিয়মে সেই জোড়া থেকে আবার একটা একক প্রাধান্য পায় বা বের হয়ে আসে যা পুনরায় জোড়া গঠন করে তার পরের বা ওপরের ধাপে। এককতার এই ঝোঁক প্রতিটা জোড়াকে এগিয়ে নিয়ে যায় পরের জোড়ায়, সচল রাখে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অস্তিত্ব। এটা এমনই এক ধরনের গতি যা দূরত্ব কে সময় দিয়ে ভাগ করে পাওয়া যায় না।
এককের নেশা জোড়া গুলোকে অস্থিতিশীল করে বলেই নতুন জোড়া তৈরি হয় – ফলে দ্বৈততা কেন্দ্রে থাকলেও তা অপ্রতিসমতার কারণে অস্থিতিশীল; আবার এই অস্থিতিশীলতা পরের ধাপের জোড়া গঠনের প্রধান প্রভাবক। আধ্যাত্মিক ভাবে চিন্তা করলে, দ্বৈততা আমাদের বাঁচিয়ে রাখলেও এককের দিকে ফিরে যাওয়াই আমাদের প্রবণতা। হতে পারে, এটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এমন একটা নিয়ম যা সব কিছুর ওপরেই প্রযোজ্য।